নারী-সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর, কুণাল বললেন, ইস্যু তৈরির জন্য টার্গেট করা হচ্ছে না তো
জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এবার শুরু হল রাজনৈতিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা হিসেবে তৃণমূল নেতা বললেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। কিন্তু ইস্যু তৈরি করার জন্য বেছে বেছে মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে না তো?”
টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারিহাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় ফাঁড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। ফাঁড়িতে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুনও। এমকী পুলিশকে ঝাঁটাপেটাও করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর।
খবর পেয়ে এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে এলাকায়। পুলিশের তরফে পাল্টা লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। এই মুহূর্তে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেবীপক্ষেও বাংলার মেয়েদের নিস্তার নেই। এঘটনা তারই প্রমাণ। আসলে বাংলায় আইনের কোনও শাসনই নেই”।
পাল্টা হিসেবে কুণাল বলেন, “পুলিশকে বলব, এটাও তদন্তে করে দেখা হোক, যে ইস্যু তৈরির জন্য বেছে বেছে মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে কিনা।”
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আজ, রবিবার কুলতলি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি, ‘‘আজকে ট্রেলার দেখলাম আগামী দিন সিনেমা দেখাব।’’ বর্তমানে বিক্ষোভ শেষে মৃতা নাবালিকার বাড়িতে যাচ্ছে বিজেপির বিশাল কনভয়। মূল রাস্তা থেকে দেড় কিলোমিটার ভিতরে মৃতার বাড়ীতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন বিজেপির প্রতিনিধি দল।