কর্মবিরতি উঠলো উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। অনশনে দুই চিকিৎসক পড়ুয়া।
শনিবারই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সোমবার থেকে তাঁরা কাজে ফিরবেন। কিন্তু আন্দোলন জারি রাখতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতার ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। শনিবার রাত থেকে তা শুরু হয়েছে। এ বার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও রবিবার ২৪ ঘণ্টার ‘প্রতীকী’ অনশনে বসলেন ২জন জুনিয়র ডাক্তার। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, যত দিন না পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে, তাঁদের আন্দোলন চলবে। এর পর থেকে রিলে অনশনে বসবেন তাঁরা।
শনিবারই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সোমবার থেকে তাঁরা কাজে ফিরবেন। সেই মতো তারা আজকের থেকে কাজে যোগদান করলেন।কিন্তু আন্দোলন জারি রাখতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রোগীদের কথা মাথায় রেখে কর্মবিরতি তুলে নিলেও আমাদের দাবি যত ক্ষণ না পূরণ হচ্ছে, তত ক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে। আজকে আমরা প্রতীকী অনশনে বসছি। এর পর থেকে আমরা রিলে অনশনে যাব। আমাদের মধ্যে থেকেই ১-২ জন করে প্রতিদিন অনশনে থেকে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।’’
কর্মবিরতি করে আন্দোলনের জেরে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। অভিযোগ ওঠে, আউটডোরে ‘পিজিটি’রা পরিষেবা না দেওয়ায় হাসপাতালে প্রত্যন্ত জেলা থেকে আসা রোগীদের দিনভর অপেক্ষা করে চিকিৎসক দেখাতে হচ্ছে। কারণ, সিনিয়র চিকিৎসকেরা আউটডোর সামলালেও, রোগীর চাপের জেরে পরিষেবা দিতে দেরি হচ্ছে। যদিও জরুরি বিভাগে আন্দোলনকারী ‘পিজিটি’রা পরিষেবা দিচ্ছিলেন শুরু থেকেই। সম্প্রতি ইনডোরেও তাঁরা পরিষেবায় কয়েক দিন যোগ দিলেও, ফের ওই সেখানেও কাজ বন্ধ করে দেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সোমবার আজকে থেকেই তাঁরা কাজে যোগদান করলেন ।