কলকাতার পাঁচটি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম
কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজেই এবার পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়ে গেল কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা বা সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম (সিআরএস)। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে গত ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়েছিল ওই ব্যবস্থা। তাতে যুক্ত করা হয়েছিল পিজি হাসপাতালকেও। শুক্রবার, ১ নভেম্বর থেকে এনআরএস, আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল ও ন্যাশনাল সহ কলকাতার বাকি আরও চারটি মেডিক্যাল কলেজকেও সেই রেফারেল ব্যবস্থার আওতায় আনা হলো। সেই সূত্রে শুক্রবার থেকে সিআরএস ব্যবস্থাটি সম্প্রসারিত হলো উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলাতেও। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, তাঁরা গোটা ব্যবস্থাটির উপর নজর রাখছেন।
সাধারণত হাওড়া ও হুগলির রোগীদের কলকাতা মেডিক্যালে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রোগীদের ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও পিজি-তে এবং উত্তর ২৪ পরগনার রোগীদের আরজি কর ও এনআরএস হাসপাতালে রেফার করাই বরাবরের দস্তুর। এবার সেই রেফার ব্যবস্থাটিই একটি সফটওয়্যার মারফত কেন্দ্রীয় ভাবে স্বাস্থ্যভবন থেকে মনিটর করা হবে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এতে স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরের হাসপাতালগুলির রেফারকারী চিকিৎসকও তাঁর সিস্টেমে দেখতে পাবেন, কলকাতার এই হাসপাতালগুলিতে কোথায় কোন বিভাগে কত শয্যা খালি রয়েছে। সেইমতো তিনি রেফার করবেন বড় হাসপাতালে। এতে বড় হাসপাতালে বেড না পাওয়া সংক্রান্ত হয়রানি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমবে রোগী-পরিজনের।
তবে ১ নভেম্বর থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্যানিক বাটন এবং রোগী-পরিজনের জন্য ভ্যাকেন্ট বেড ডিসপ্লে ব্যবস্থা শুরু করার কথা থাকলেও এখনও সে কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তবে অচিরেই সেই দু’টি ব্যবস্থাও চালু হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। গত ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথম ধাপে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব হাসপাতালের পাশাপাশি রেফারেল সিস্টেমে যোগ হয়েছিল এমআর বাঙুর (নোডাল সেন্টার), ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ আর পিজি হাসপাতালে।
আর এদিন সেই ব্যবস্থায় যুক্ত হলো কলকাতার সবক’টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যের বাকি ২৩টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজকেও সিআরএস ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে সে জন্য উত্তরবঙ্গের নোডাল সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।