দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখছেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস, কেন জানেন?
কলকাতায় থাকুন বা ক্যালিফোর্নিয়ায় লন্ডন বা সুইজারল্যান্ড দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, দিনে একবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছে যান, সেখান থেকে দিনে ১৬ বার সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। যেমন দেখছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। আগেও যখন তিনি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন, তখনও দেখেছিলেন। গত পাঁচ মাস ধরে দিনে ১৬ বার সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখতে হচ্ছে সুনীতাকে। কারণ ৪ জুন থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আটকে রয়েছেন তিনি।
পৃথিবীতে কিভাবে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়?
পৃথিবী যেমন নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে। তেমন নিজের অক্ষের চারিদিকেও পাক খায়। একে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলে। এর জেরেই পৃথিবীতে দিন-রাত্রি হয়। নিজের অক্ষের চারিদিকে পৃথিবীর এক বার ঘুরতে সময় লাগে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড। তাই এক দিনের হিসাব ২৪ ঘণ্টা ধরে করা হয়। এই গতির জন্যই পৃথিবীর এক প্রান্তে যখন দিন হয়, অন্য প্রান্তে রাত। এ ভাবে পর্যায়ক্রমে তা বদলাতে থাকে।
আর এই চক্র মহাকাশ স্টেশনে কিভাবে ঘটে
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের নিরিখেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে দিন ও রাত হয়। পৃথিবীর আহ্নিক গতির থেকে আইএসএস-এর গতি বহু গুণ বেশি বলেই সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বার দিন ও রাত হয়। স্পেস স্টেশনে যখন সূর্যালোক পড়ে তখন মহাকাশচারীদের কাছে তা দিন। ৪৫ মিনিট সেখানে সূর্যের আলো দেখা যায়। তার পরের ৪৫ মিনিট অন্ধকার, অর্থাৎ রাত। এ ভাবে ২৪ ঘণ্টায় পর্যায়ক্রমে ১৬ বার দিন ও রাত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ৪৫ মিনিট দিন, তারপরের ৪৫ মিনিট রাত। সূর্য ওঠার সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের সম্পর্ক নিবিড়। কিন্তু ৪৫ মিনিট অন্তর যদি কোথাও দিন আর রাত হতে থাকে, সেখানে সময়ের হিসাব রাখা কতটা মুশকিল তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। তাহলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কী ভাবে সময় বোঝেন সুনীতা? আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সময় পরিমাপ হয় কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম (ইউটিসি) অনুযায়ী। তাই মহাকাশচারীরা অ্যাটোমিক ক্লক ব্যবহার করেন। যা সময়ের হিসাব নিখুঁতভাবে রাখে।
+ There are no comments
Add yours