হাওড়ার নলপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: বেলাইন হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে রেল কর্তৃপক্ষ
হাওড়ার নলপুর অঞ্চলে আজ সকালে বেলাইন ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনে চ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই দুর্ঘটনায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে কেন ট্রেনটি বেলাইন হলো এবং কী কারণে এই বিপত্তি ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। সমস্ত যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের মতে, ট্রেনটির লাইনচ্যুত হওয়ার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ:
দক্ষিণ পূর্ব রেলের টেকনিক্যাল বিভাগের মতে, ট্রেনটি যখন ডাউন মেন লাইন থেকে মিডল লাইনে উঠছিল, তখন সেখানে কোনো বিভ্রাট হতে পারে। মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন উভয় দিকের ট্রেন চলাচল করে, আর এই ক্রসিং পয়েন্টে যদি কোনো সমস্যা ঘটে, তাহলে ট্রেনের চলাচলে বিপত্তি সৃষ্টি হতে পারে।
গতি ছিল কম, তাই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো:
অন্যদিকে, যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় ট্রেনের গতি ছিল ১৫-২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এজন্যই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, যদি গতি বেশি থাকত, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো, বলে মনে করছেন অনেকেই।
সিগন্যালিং এবং লাইন পরিবর্তন:
লাইনের পরিবর্তন ও সিগন্যালিং পয়েন্টে সমস্যা থাকতে পারে, যা এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ট্রেনের চালককে লাইন পরিবর্তনের সময় খুবই সতর্ক থাকতে হয়, এবং আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে, কোন ধরনের অসতর্কতা বা যান্ত্রিক গোলযোগ ঘটেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুরনো LHB রেক এবং অন্য বিষয়:
এছাড়া, যে ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, সেটি পুরনো LHB রেক। রেলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের দাবি, পুরনো রেকের কারণে কখনও কখনও দুর্ঘটনার ঘটনা বাড়ে। ফলে, এই বিষয়ে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা, তা এখনও তদন্তের অধীনে রয়েছে।
আগামী পদক্ষেপ:
এই দুর্ঘটনার তদন্তে রেলের বিভিন্ন বিভাগের কর্তারা বিষয়টির গভীরতা যাচাই করছেন। সিগন্যালিং, লাইন পরিবর্তন, যান্ত্রিক গোলযোগ এবং ট্রেনের অবস্থানসহ অন্যান্য বিষয়ের নিরীক্ষণ করা হচ্ছে। আপাতত, উদ্ধার কাজ চলছে এবং অন্য কোনো ধরনের বিপত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে।