বিষাক্ত ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাজধানী , বাতাসের গুণমান সূচক পৌঁছেছে ৫০০-তে!
দিনদিন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী দিল্লি। মঙ্গলবার সকালে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও বায়ু দূষণের মাত্রা ‘সিভিয়ার প্লাস’ ক্যাটেগরিতে রয়ে গেছে। ধোঁয়া এবং কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো শহর। দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে বাতাসের গুণমান সূচক পৌঁছেছে ৫০০-এর কাছাকাছি।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এর তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৯৪, যা ‘সিভিয়ার প্লাস’ ক্যাটেগরিতে পড়ে এবং এভাবে বায়ু অনেকটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য। সকালে নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনেও ধোঁয়ার স্তর দেখা গেছে।
যার কারণে ২২টি ট্রেন দেরিতে চলেছে এবং ৯টি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। বায়ু দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে, কোলিন্ডি কুঞ্জ ও অখলা ব্যারেজের কাছে বিষাক্ত ফেনার স্তর দেখা গেছে, যা নদীর বিভিন্ন অংশে ভাসছে। দিল্লির বাসিন্দারা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, কারণ শহরের বিভিন্ন স্থানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স এখনও ‘সিভিয়ার প্লাস’ ক্যাটেগরিতে রয়েছে।
সোমবার সকাল ৮.৩০ পর্যন্ত, দিল্লির বিভিন্ন অঞ্চলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যেমন- আনন্দবিহার (৫০০), বাওয়ানা (৫০০), সিআরআরআই (মথুরা রোড) (৫০০), ডিটিইউ (৪৯৪), দ্বারকা সেক্টর-৮ (৪৯৪), আইটিও (৩৯১), জাহাঙ্গিরপুরী (৪৯৩), লোধি রোড (৪৮৮), মুণ্ডকা (৪৯৮), নরেলা (৫০০), উত্তর ক্যাম্পাস (৪৯৪), পাঞ্জাবী বাঘ (৪৯৫), আরকে পুরম (৪৯০), শাদিপুর (৪৯৮), ওয়াজিরপুর (৪৯৮)।
সাফার ইন্ডিয়া -এর তথ্য অনুযায়ী এই AQI মাপা হয়েছে। এয়ার কোয়ালিটির এই সংকটের কারণে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেএনইউ প্রশাসন ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস অনলাইনে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হরিয়ানার গুরগাঁও জেলায় ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া না হওয়া পর্যন্ত ১২ম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত স্কুলের শারীরিক ক্লাস স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পরামর্শ জারি করা হয়েছে।
এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিলম্বে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে রাজধানী এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের শ্বাসযন্ত্র ও স্বাস্থ্য বিপদের মুখে না পড়ে।