আজকের দিনটায় কী ভাবে ভালো থাকতে পারি,’ মৃত্যুদিনে ঐন্দ্রিলার মায়ের এ যন্ত্রণা মেটার নয়
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রয়াণের দু’বছর হয়ে গিয়েছে। আজ, অর্থাৎ ২০ নভেম্বর, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকী। কনিষ্ঠ কন্যাকে হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপে কী বললেন তাঁর মা শিখা শর্মা? তাঁর স্মৃতি কী করছে পরিবার?২০ নভেম্বর। শর্মা পরিবারের কাছে দিনটা যন্ত্রণার। দু’বছর আগে এই তারিখেই মৃত্যু হয়েছিল বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। ১ নভেম্বর স্ট্রোক হয় ২৪ বছর বয়সি (মৃত্যুর সময় সেটাই ছিল অভিনেত্রীর বয়স) তারকার। তার আগে দু’বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দু’বারই বিজয়ী হয়েছিল কঠিন লড়াইয়ে। এক স্ট্রোকই শেষ করে দিল তরতাজা প্রাণ। ঐন্দ্রিলা রেখে গেলেন একরাশ স্মৃতি, তাঁর পরিবার ও প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে।মেয়ের মৃত্যুদিন। মা হয়ে এই দিনটার সম্মুখীন বারবার হতে হবে, কোনওদিনও দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি শিখাদেবী। তিনি নিজেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন দু’বার। বর্তমানে চলছে তাঁর ওরাল কেমো থেরাপি। ফোনের ওপার থেকে এই সময় অনলাইনকে বললেন, ‘আজকের দিনটায় আমি কি ভালো থাকতে পারি? পারি না। মেয়েটা আমার কোল শূ্ন্য করে চলে গিয়েছে। একটা দিনও যায় না, যেদিন ওঁর কথা মনে আসে না।’ কন্যাকে হারিয়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন শিখাদেবী। যন্ত্রমায় বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে তাঁর। মেয়ে নেই, সেই যন্ত্রণা মা হিসেবে সহ্য করতে পারেন না কিছুতেই।
শর্মা পরিবার চিকিৎসকদের পরিবার। ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য পেশায় চিকিৎসক। তাঁর বাবা উত্তম শর্মাও চিকিৎসক। শিখাদেবী নিজে নার্স। সেই পরিবারের প্রাণকেন্দ্র ছিলেন ঐন্দ্রিলা। দারুণ ছটফটে, দস্যি! ভীষণই উদার ছিল তাঁর মন। কন্যার মৃত্যুর পর শিখাদেবী বলেছিলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে ভালোবাসত মেয়েটা। ওঁর কোনও কিছুর প্রতিই মোহ ছিল না। প্রিয় জিনিসগুলো সহজেই ছেড়ে দিতে পারত। অভাবীদের দেখলে ওঁর প্রাণ কাঁদত। সেই মেয়েটাকেই ঈশ্বর নিজের কাছে টেনে নিলেন। ওখানেও হয়তো ওঁর প্রয়োজন পড়েছিল।’ ঐন্দ্রিলার মৃত্যুদিনে বস্তিতে গিয়ে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ করছে শর্মা পরিবার। জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মা।
বোনের মৃত্যুর পর তাঁর দেখানো পথেই মন বসিয়েছেন ঐশ্বর্য। ডাক্তারির পাশাপাশি মিউজ়িক ভিডিয়ো তৈরি করেছেন। বিনোদনের সঙ্গে খানিক জড়িয়ে পরিবারের বোনের অভাব পূরণের আপ্রাণ চেষ্টা করছেন দিদি