বালির তবলা বাদকের দেহ উদ্ধার ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের কামরায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য
হাওড়াগামী কাটিহার এক্সপ্রেসের কামরা থেকে তবলা শিক্ষকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। তাঁর নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পরিবারের দাবি, সৌমিত্রর দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নয় বলেই দাবি পরিবারের। কেউ তাঁকে খুন করে সঙ্গে থাকা সমস্ত কাগজপত্র, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোনও হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। হাওড়া জিআরপি ওই স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও করেছে বলে খবর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় রেলের তরফে কোনও বক্তব্য এখনও মেলেনি।
পরিবার সূত্রে খবর, হাওড়ার বালির ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কাটিহারে তবলার তালিম দিতে যেতেন। সোমবারও রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাটিহার থেকে ট্রেনে উঠে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ট্রেন হাওড়া স্টেশনে ঢোকে। এর পরই ট্রেনের বাঙ্কে সৌমিত্রর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের স্ত্রী জানান, ১২ বছর কাটিহার রামকৃষ্ণ মিশনের তবলার শিক্ষক ছিলেন সৌমিত্র। সেখানে মিশনের বাইরেও অনেককে তবলা শেখাতেন। অবসর নেওয়ার পরও নিয়ম করে ক্লাস করাতেন কাটিহারে। সেখানেই গিয়েছিলেন সোমবারও।
তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বার বার ফোন করছি, ফোন সুইচড অফ বলছে। এর পর ছেলেকে বললাম। ছেলেও ফোনে না পাওয়ায় আমার ভাইকে বলি। কেউই পায়নি। এর পর হাওড়ায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কাটিহার- হাওড়া ট্রেন থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কখন, কী হয়েছে জানি না। আধার কার্ড দেখে দেহ শনাক্ত হয়। শরীর ক্ষত বিক্ষত। মনে হয় ঘুষি মেরেছিল, দাঁত ভাঙা। গালে ছুরির দাগ।