হাতে বন্দুক, রিলস বানাচ্ছিলো মালদার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র গুলিতে সব শেষ।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রিলস বানাচ্ছিল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। আর সেই ছাত্রের বন্দুক থেকে অসাবধানে গুলি ছিটকে গিয়ে লাগে ওই ছাত্রের শরীরে। বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম সামিউল ইসলাম। এদিকে পরিবারের দাবি ওর হাতে কীভবে বন্দুক গেল সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। আসলে রিলসের নেশায় মত্ত আধুনিক প্রজন্ম। কম বয়সি ছেলে মেয়েরা নেমে পড়ছে রিলস বানাতে। কখনও রেললাইনের ধারে কখনও আবার ঘরের অন্দরমহলে চলছে রিলস বানানো। পড়াশোনা কার্যত লাটে উঠছে। একটি রিলসে কতগুলি ভিউ আসে সেটা দেখার জন্য একেবারে অধীর অপেক্ষা। কিন্তু সেই রিলস বানাতে গিয়েই প্রাণ গেল এক ছাত্রের। মালদার কালিয়াচকের ঘটনা। দেহের পাশে বন্দুক পড়েছিল। জানা গিয়েছে অপর বন্ধু মাথায় বন্দুক ধরে গুলি চালানোর ভিডিয়ো করছিল। সম্ভবত সেটাই অসাবধানে বেরিয়ে যায়।
একেবারে হাতে বন্দুক নিয়ে রিলস বানাচ্ছিল ছাত্র। এক বন্ধুর সঙ্গে ঘরের মধ্য়ে রিলস বানাচ্ছিল ওই ছাত্র। এমন সময়ে তার বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে লাগে ওই ছাত্রের শরীরে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। পরিবারের দাবি কোথা থেকে এই বন্দুক তারা পেয়েছিল সেটা তারাও বুঝতে পারছে না। একেবারে জং ধরা একটা বন্দুক। সেটা দিয়ে রিলস বানাচ্ছিল দুই বন্ধু। আর তখনই আচমকা গুলি বেরিয়ে আসে। তাতেই মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। অপর ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
এবার প্রশ্ন উঠল কীভাবে ছাত্রের হাতে গেল বন্দুক? এদিকে মালদার কালিয়াচকে নানা সময় দেখা গিয়েছে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা। বহু সময় দুষ্কৃৃতীদের হাতে চলে যায় এই বেআইনী অস্ত্র। মূলত মুঙ্গের থেকে এই অস্ত্র আসে বলে অতীতে একাধিক সময়ে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই অস্ত্র তো রাজনৈতিক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে যায়। কিন্তু সেটা ছাত্রের হাতে এল কীভাবে?
ইতিমধ্য়েই পুলিশ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বন্দুকটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ছাত্রের হাতে বন্দুক কীভাবে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তবে তারাও এনিয়ে সদুত্তর দিতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে অস্ত্রের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিকে ওই ছাত্রের মোবাইলে এমন কিছু ছবি ও ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে যাতে বোঝা গিয়েছে ওই ছাত্র ও তার কয়েকজন বন্ধু নানা সময় রিলস বানাতো। আর সেই রিলস বানাতে গিয়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল।