লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর অনুকরণে চালু ‘লাডকি বহিন’-ই গেমচেঞ্জার? মা-বোনেদের ধন্যবাদ জানালেন শিন্ডে
ভোটের ফলাফলে জয় স্পষ্ট হতেই রাজ্যের মহিলাদের ধন্যবাদ জানালেন একনাথ শিন্ডে। গেমচেঞ্জার হয়ে উঠল বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে তৈরি ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্প। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, অজিত পাওয়ার এবং একনাথ শিন্ডেকে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রেকর্ড জয়ের পথে মহায়ুতি জোট। একনাথ শিন্ডে এই সাফল্যের কারিগর মনে করছেন ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্পকেই। লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেয়েছিল শাসক জোট মহায়ুতি। ফলে বিধানসভা নির্বাচন ছিল তাদের কাছে লিটমাস টেস্ট।
একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘এটা ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি। এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দলের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে কুর্নিশ। বিশেষ ধন্যবাদ রাজ্যের মা,বোন ও কৃষকদের।’মহায়ুতি জোটের নেতারা প্রথম থেকেই ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্প নিয়ে ঢালাও প্রচার করেছিলেন। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলারা ২ হাজার ১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মহায়ুতি জোট। পিছিয়ে ছিল না মহাবিকাশ আগাড়িও। তারাও মহিলাদের মাসে ৩ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচনী ইস্তেহারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মহারাষ্ট্রের ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে মনে করছেন, মহায়ুতি জোটের এই ‘লড়কি বহিন’ প্রকল্পেই এ বারের গেমচেঞ্জার হয়েছে। নির্বাচনের আগেই মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রকল্প শুরু করেছিল। যা অনেকটাই বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে।
গত ২৮ জুন মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছিল এই ‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লাডকি বহিন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মারাঠাভূমের ২১ থেকে ৬৫ বছরের মহিলাদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ভোটে জিতে পুনরায় ক্ষমতায় এলে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল মহায়ুতি জোট।
+ There are no comments
Add yours