ভয়ংকর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঝাড়খন্ডে। নিজের লিভ ইন পার্টনারকে ধর্ষণ করে খন্ড-খন্ড করে জঙ্গলে ফেলে দিল। কুকুরের মুখে গেল হাত
হাড় হিমকর ঘটনা ঝাড়খণ্ডে। ভয়ংকর নৃশংসতার পরিচয় দিল কসাই। পুনরায় ফিরে এলো শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া। নিজের লিভ ইন পার্টনারকে ধর্ষণ করে, খুন করে দেহের ৪০ ৫০ টুকরো টুকরো করে কেটে জঙ্গলে ফেলে দিল ঝাড়খণ্ডের এক কসাই। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কুন্তি জেলায়। ওই যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তুমুল চাঞ্চল্যের ও হইচই সৃষ্টি করেছে এলাকায়। গত ২৪ নভেম্বর জরিয়াগড় থানা এলাকার জোরদাগ গ্রামের কাছে একটি জঙ্গলে মানবদেহের কাটা অংশ মিলেছিল। একটি কুকুরকে দেখা গেছিল সে খাচ্ছে সেগুলি। তারপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে গ্রেফতার করা হয় ২৫ বছর বয়সি নরেশ ভেংড়া নামের এক যুবককে। তখন পুলিশ জানতে পারে, অন্তত ১৪ দিন আগে নিজের লিভ-ইন পার্টনারকে ধর্ষণ করে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো করে ফেলে দিয়েছিল সে। এই যুবক পেশায় একজন কসাই। পুলিশি তদন্ত উঠে এসেছে, এই যুবক তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে না জানিয়ে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। এদিকে তাঁর প্রেমিকাও তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁকে তাঁর বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল না। এই কারণেই কার্যত তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে নরেশ। নিজের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে জোরদাগ গ্রামের কাছে একটি জঙ্গলে তাঁকে নিয়ে যায়। সেখানেই আগে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে প্রেমিকাকে খুন করে এবং দেহ অন্তত ৫০ টুকরো করে ফেলে।
এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার অশোক সিং জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর এক মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করত যুবক। সেখানেই এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল সে। এদিকে ঝাড়খণ্ডে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারও ছিল। জেরায় যুবক গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। যুবক এও জানিয়েছে, খুনের আগে যথেষ্ট প্ল্যানিং করেছিল সে।
প্রথমে যুবক তাঁর প্রেমিকাকে অটো করে নিজের বাড়ির কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং তাঁকে অপেক্ষা করতে বলে। তারপর নিজের বাড়ি গিয়ে ধারাল অস্ত্র নিয়ে আসে। এরপর কাছের জঙ্গলে গিয়ে আগে প্রেমিকার মুখ তাঁর ওড়না দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে, তারপর তাঁকে গলা টিপে খুন করে। শেষে তাঁর দেহ ৪০-৫০ টুকরো করে দেয়।
+ There are no comments
Add yours