নভেম্বরেও ডেঙ্গির প্রকোপ, জেলায় চোখ রাঙ্গাচ্ছে ডেঙ্গির বৃদ্ধি । ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দুজনের
তাপমাত্রা কমলেও ডেঙ্গির দাপট কমার লক্ষণ নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ১৮ ডিগ্রির নিচের নামলেই মশার উপদ্রব কমবে। মশার বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে তাপমাত্রায় আসেনি। যার জন্য এখনো মশার উপদ্রব রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।দু’জনেরই ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গিকেই দায়ী করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। মৃতদের নাম কাশীনাথ মণ্ডল এবং গায়েত্রী পাল। এদের মধ্যে কাশীনাথের বাড়ি কামদুনিতে। গায়েত্রী ভোজেরহাটের বাসিন্দা।
দিন পাঁচেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার ওই দুই বাসিন্দাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘ডেথ অডিট ছাড়া মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।’ তবে গত বছরের তুলনায় রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো বলে দাবি ওই কর্তার।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, গত বছর রাজ্যে ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৯০ হাজার জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে ওই একই সময়ে এ বার ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভি এসেছে ২৮১০২ জনের। ডেঙ্গি সংক্রমণের মরশুম মূলত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু, এবার নভেম্বরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।
যে কয়েকটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও কলকাতা। জুলাইয়ে ১,৮৮৮ জনের পর অগস্টে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪,৫১৬ জন। সেখানে সেপ্টেম্বরে ৭,১৯৯ এবং অক্টোবরে ৭,০৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭০০ জন
+ There are no comments
Add yours