বাবাকে মারধর করে ঘরে বন্দি করলো ছেলে। সাহায্য চাইতে পুলিশকে ফোন। উদ্ধারে আক্রান্ত পুলিশ।
আজ, রবিবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরে ঘটে গেল তুলকালাম কাণ্ড। প্রথমে ছেলের হাতে মার খেলেন বৃদ্ধ বাবা। তারপর নিজের বাবাকে গৃহবন্দি করে রাখল ছেলে। এই নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ওই বৃদ্ধ ১০০ ডায়াল করলেন। সাহায্য চাইলেন পুলিশের কাছে। আর তারপর ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করতে গিয়ে খোদ শহরে আক্রান্ত হল পুলিশ। এখানেই শেষ নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে ওই বৃদ্ধের ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোড়ন পড়ে গেল বাঁশদ্রোণীতে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে নিজের বাবাকে টাকার দাবি করে বেধড়ক মারধর করে গৃহবন্দি করে রেখেছিল ওই ছেলে। ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই বৃদ্ধ ১০০ ডায়াল করে পুলিশের কাছে সাহায্য চান। পুলিশ বৃদ্ধের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেতেই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে যায়। আর ঘটনাস্থলে পৌঁছয়েই বৃদ্ধের ছেলের হামলার মুখে পড়তে হয় পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে। দীর্ঘদিন ধরেই ছেলের সঙ্গে অশান্তি চলছিল ওই বৃদ্ধ বাবার। এবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। যার জেরে বৃদ্ধের জোটে প্রচণ্ড মারধর।
অন্যদিকে পুলিশের আনা অ্যাম্বুল্যান্সে বৃদ্ধের ছেলে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। আর পুলিশ কনস্টেবলকে লাথি মারে বলেও অভিযোগ। তারপর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করে। এমনকী ছুরি নিয়ে পুলিশকে কোপাতে ধাওয়া করারও মত অভিযোগও ওঠে। ওই আক্রান্ত বৃদ্ধের নাম শম্ভু নারায়ণ ভট্টাচার্য। আর তাঁর ছেলের নাম রুদ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য। বাবার অনেক টাকা আছে বলে ছেলের ধারণা। আর সেসব ছেলেকে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও ওই বৃদ্ধের তেমন কোনও সম্পত্তি নেই। এই কথা বিশ্বাস করতে নারাজ ছেলে। অশান্তির শুরু সেখান থেকেই। এছাড়া বৃদ্ধ শম্ভু নারায়ণ ভট্টাচার্যকে এখন এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ছেলে রুদ্র নারায়ণ ভট্টাচার্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ছেলের সঙ্গে বাবার অশান্তি লেগেই থাকত। বাড়িটা লিখে দিতে হবে, টাকাপয়সা তাঁর নামে করে দিতে হবে–সহ নানা দাবি নিয়ে বাবার উপর অত্যাচার করত ছেলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বললেই পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে
+ There are no comments
Add yours