ব্রিকসের নতুন অর্থনৈতিক নীতির বিরোধিতা করে কড়া বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিকসের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরও কয়েকটি দেশ) মুদ্রা ভিত্তিক অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি ব্রিকস সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে একটি নতুন মুদ্রা চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে একটি বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ।
*ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি*
ট্রাম্প এক অনলাইন পোস্টে বলেন, “ব্রিকস দেশগুলো ডলার থেকে সরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এই দেশগুলো যদি নতুন মুদ্রা চালু করে, তবে তারা কঠোর শুল্কের সম্মুখীন হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমেরিকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের শক্তি ধরে রাখবে এবং যারা এই ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করবে, তাদের মুখোমুখি হতে হবে আমেরিকার কঠোর নীতি।”
*ভারত এবং অন্যান্য ব্রিকস দেশগুলোর ভূমিকা*
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বললেও ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। তিনি মন্তব্য করেন, “ভারত এমন একটি দেশ, যা শুল্কের ক্ষেত্রে চীনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে তারা এটি এমনভাবে করে, যেন এটি তুচ্ছ বিষয়।”
*ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি*
ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই শুল্ক আরোপের মাধ্যমে আমেরিকান অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পক্ষপাতী। নির্বাচনের আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমরা চীনের মতো দেশ থেকে ২০০% পর্যন্ত শুল্ক নিই। ব্রাজিলও শুল্ক চার্জে এগিয়ে রয়েছে। এই নীতির মাধ্যমে আমেরিকাকে অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী করতে চাই।”
*ব্রিকসের চ্যালেঞ্জ*
ব্রিকস দেশগুলো ডলার নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই বিরোধিতা ব্রিকসের পরিকল্পনায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। তবে এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটি নতুন ভারসাম্য তৈরির সূচনা হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
*উপসংহার:*
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ব্রিকস দেশগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করলেও, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ এই সংঘর্ষের মাধ্যমে নতুন রূপ নিতে পারে। এর ফলে ডলার এবং ব্রিকস মুদ্রার প্রভাব নিয়ে নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
+ There are no comments
Add yours