ফল খারাপ হলে ‘ ফল ‘ ভুগতে হতে পারে অধীরকে

এশিয়া নিউজ ডেস্ক: ইঁদুর দৌড়ে ও পিছিয়ে পড়ছে বঙ্গ কংগ্রেস (Congress)। প্রদেশ কংগ্রেস বলে একটা কমিটি আছে বটে।
১০৪ই , লাল মোহন মুখোপাধ্যায় লেনে একটা বিধান ভবন নামে একটা রাজ্য অফিস ও আছে। তবে গোটাটাই এখন শীত ঘুমে। নির্বাচন এসেছে, না প্রদেশ কংগ্রেস কে দেখলে তা বোঝার উপায় নেই।
[কারণ হাতে আর ১ মাস ও নেই। কিন্ত প্রার্থী ঘোষনা দূর আস্ত, জোট হবে কি হবে না তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না প্রদেশ কংগ্রেস। একটা বড় অংশের মতে, এর দায় সম্পূর্ণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। দেখতে দেখতে প্রায় ৪ বছর সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন অধীর চৌধুরী। পারফরম্যান্স কার্যত শূন্য। বিধানসভাতে লড়াই করেও খোদ নিজের গড়ে ধুয়ে মুছে যায় কংগ্রেস। একই অবস্থা পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। জেলা গুলোতে সংগঠন প্রায় নেই।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেও জেলার বাইরে খুব একটা যান না তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে? হাতে গোনা দিন পাওয়া যায় অধীর চৌধুরীকে। রাজনৈতিক মহলের মতে , ক্যারিশমেটিক নেতা হলেও এখনও প্রদেশ নেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেনি অধীর। রয়ে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার নেতা হিসাবে। এমনকী অধীরকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ হাইকমান্ডও।


রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এই লোকসভা নির্বাচন অধীরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এক নিজের আসন ধরে রাখা, দুই, গত নির্বাচনে জেতা মালদহ দক্ষিণ আসন ধরে রাখা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এআইসিসি থেকে ৪ আসনে জয়ের লক্ষ মাত্রা বেঁধে দিয়েছে অধীরকে। যা রীতিমত ভাবাছে অধীর ঘনিষ্ঠ প্রদেশ নেতাদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ৪ আসন তো অনেক দূরে, এবার কার্যত ১ টি আসনে আটকে যেতে পারে কংগ্রেস। আর তাই যদি হয়, সেক্ষেত্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে অধীর চৌধুরীকে। পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের জন্যে লোকসভা তে কংগ্রেস দলনেতার পদও আর দেওয়া হবে না অধীরকে। বঙ্গ রাজনীতি তে তৃণমূল বিরোধী বলেই পরিচিত অধীর চৌধুরী। সেক্ষেত্রে লোকদের নির্বাচনে তৃণমূলের সাথে জোট না করতে সর্বশক্তি নিয়ে নামেন তিনি। অপরদিকে এআইসিসি বারে বারে রাজ্যে তৃণমূলের সাথে আসন সমঝোতা করতে চেয়ে ছে। এমনকী খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , তৃণমূলের এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস- তৃণমূল জোটের পক্ষে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখেন। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলকে অধীরের লাগাতার আক্রমণ ও বিরোধীতার কারণে জোট থেকে সরে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে বামেদের সাথে মুখে জোটের কথা বললেও বিষয় টিযে এখনও কার্যত ‘বিশ বাও জলে’, তা কিছুটা হলেও স্পষ্ট করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও খোদ অধীর চৌধুরী। এমনকী ১৬ টি আসনে তাদের প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। সূত্রের খবর, বাকী আসনে আই এসএফের সাথে আলোচনা করে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত বামফ্রন্ট। কিন্তু কংগ্রেস? আদৌ বামেদের সাথে জোট হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সংশয় হাত শিবিরের। এমনকী শেষ পর্যন্ত জোট না হলে ৪২ আসনে প্রার্থী দেওয়া বা দিতে পারলেও তাঁদের লজ্জাজনক হার সামলানোই কঠিন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিনের পর দিন গোটা রাজ্যে কোনও আন্দোলন না করা, নিজের কিছু কাছের লোকেদের হাতে প্রদেশ কংগ্রেস এর দায়িত্ব তুলে দেওয়া, মুর্শিদাবাদ জেলার বাইরে কোথাও সংগঠন নিয়ে কোনো গা না করার ফলে গোটা রাজ্যে কংগ্রেস এখন কার্যত গুরুত্বহীন।

৮ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। বাকী আসনে আদৌ প্রার্থী দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দে খোদ সভাপতি

Asia News https://asianewslive.in

Asia News is a digital news platform that brings Asia to the global online audience.

You May Also Like

More From Author