সুমনা আদক: চৈত্রের (Chaitra) পোখরতা কাটিয়ে নতুনের আবাহন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির (Bengali) বিশেষ দিন। নববর্ষ (Newyear) মানেই নতুনের সাজানো সমারোহ। নববর্ষ পালনের ধারাবাহিকতা স্বদেশের পাশাপাশি প্রবাসেও বেশ জনপ্রিয়।
এবারের পয়লা বৈশাখের শুরুটা হচ্ছে উইকেন্ড দিয়ে এবছর এডিনবোরার (Edinburg) বাঙালিদের কাছে উপরি পাওনা বলতে এটাই। তারা বেজায় খুশি। সারা বছরের ব্যাস্ততার মধ্যে এইটুকু আনন্দ মনে মনে এডিনবোরার বাঙালিদের টেনে আনে এই বাংলায়। পয়লা বৈশাখের দিনে ব্রিটিশ স্কটিস ভারতীয় বোনসোদ্ভূতরা কিন্তু একেবারে রসে বসে খাঁটি বাঙালি। স্কটিস বেঙ্গলি আর্টস এন্ড হেরিটেজ “সাবাস ” এর পক্ষ থেকে ১৪৩১ এর পয়লা বৈশাখের আয়োজন হচ্ছে জমজমাট।
তীব্র ঠান্ডা কাটিয়ে এডিনবোরার আবহাওয়ায় এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ভেজা মেঘের রঙিন বসন্ত। “দায়িবি স্ট্রিটের লাইফ চার্চ “এ দুপুর থেকেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খাবে ভলেন্টিয়ার রা। পড়াশোনা করতে প্রবাসে যাওয়া অনেক পড়ুয়াও যোগ দিচ্ছে বাঙালি আড্ডায়, বলতে গেলে এডিনবোরার “লাইফ চার্চ” একেবারে বাঙালির বৈঠকখানা। বাঙালি পোশাক সাজসাজ্জায় ডুবে যাবে উদ্যোক্তারা।
রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে নাববর্ষের শুরুটা হয়ে শেষে থাকছে আধুনিক বাংলা গান। এছাড়া আবৃত্তি, শ্রুতি নাটক, নৃত্য সবই থাকছে ঐ দিন। “সাবাশের” পক্ষ থেকে অনেক দিন আগে থেকেই জানানো হয়ে পয়লা বৈশাখীর যাবতীয় পরিকল্পনা কথা। বৈশাখী আড্ডার বিষয় হোলো “প্রবাসে বাঙালিয়ানা ” কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকার পাশাপাশি নিজের সংস্কৃতির পাঠ নেওয়ার এ হোলো আরেকটা সুযোগ। পুরোনো প্রজন্মেরদের পাশাপাশি এডিনবরার নতুনরাও এতে বেশ খুশি। এত গেলো সংস্কৃতির পালা,একদিকে পয়লা বৈশাখ বলে কথা খাবারের কথা বাদ দিলে চলবে না “লাইফ চার্চ” এর অন্দরে তখন বাঙালি রান্নার গন্ধে একেবারে মাতোয়ারা। খাবারের মেনুতে থাকছে ঠাসা বাঙালি রান্না সবশেষে রসগোল্লা দিয়ে হবে মিষ্টিমুখ।দিনের শেষে চ্যারিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবছর। আড্ডায় হাসি গল্পে পুরোনোকে সরিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রতিবারের মতো এবারেও প্রস্তুত এডিনবোরার প্রবাসীরা।