কবি জয় গোস্বামী (Joy Goswami) বলেছিলেন, সেই মেয়েটির কাছে সন্ধ্যাতারা আছে।!!
আসলে আকাশের সন্ধ্যাতারা মর্ত্যলোকে কিভাবে নামলো?নাকি ওই মেয়েটিই সীমাহীন আকাশ? যার দুহাতে রয়েছে সন্ধ্যাতারা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আকাশে পেখম মেলা সেই সফলতার পাখনা তো কম নয়,এতকাল নারীদের নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়েছে, সাহিত্যে শিল্পে এদের চর্চা চলেছে বছর ধরে। একবিংশ শতাব্দীর নারীরা আজ সাবলম্বী, সংসারে চারদেওয়াল টোপকে একটা শক্তির স্তম্ভ। কখনো সে দেশের চালিকাশক্তি, প্লেন থেকে ট্রেন, বাস থেকে ট্রাম সবেতেই তার দুরন্ত গতির অবস্থিতি। কখন সিঙ্গেল মাদার, কখনো বা রেসলার স্মার্ট কর্পোরেট লেডি, শিক্ষায় দীক্ষায় স্বাস্থ্য সবক্ষেত্রে সে আধুনিকা। এসব ছেড়ে মহাকাশেও পাকাপাকি ভাবে তার যাত্রা সুদূরপ্রসারি,এছাড়া সামরিক সাস্থ্য, বিজ্ঞান সব বিভাগেই সুপ্রতিষ্ঠিত নারীরা আজ শতক্রোশ এগিয়ে। পৃথিবীর কত কত দেশের সেখানকার নারীরাই সবক্ষেত্রে ফার্স্ট প্রায়োরিটি।তাদের হাতে একটা দেশের জাতীর ঐতিহ্যের ভবিষ্যত সোপা আছে। হ্যাঁ নারী পেরেছে ঘরের অন্দরেই হোক কিংবা সমাজের অন্দরে একটা অস্তিত্ব এর জায়গা রাখতে। পর্দার আড়াল সরিয়ে সামনে এসে রীতিমতো তাল মিলিয়েছে পুরুষের সঙ্গে।আমাদের দেশের বিশেষ বিশেষ স্থানে নারীর অধিকার আজ বেশ শক্তপোক্ত ।
আধুনিকা তবুও মনের সুতো বেঁধে রাখে কোনো এক প্রত্যন্ত এলাকার নাবালিকার জন্য যে কিনা আজও পনের হিসেবে বলি হয়,রোজগার সেরে ফেরার পথে গণধর্ষণ করে খুন হতে হয়, খবর হয় চৰ্চা হয়, রাজনীতি হয় সমালোচনাও হয় এসব ছেড়েও শেষমেষ সত্যের কোথাও একটা লড়াই থাকে, একটা জিত থাকে। এসব খবর গুলো ধ্রুবতারাদের আকাশে কালো উড়ে বেড়ায় মেঘের মতো যে মেঘের কালবৈশাখী ঝড় পুরুষতন্ত্র সমাজের ভীতের গোড়াকে পর্যন্ত তুলতে পারে। শক্তি আছে একটা সাহস আছে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার একটা লড়াই আছে, এসব হলেও কি হবে?আজকের দিনটার গুরুত্ব অনেকের কাছেই অজানা সেখানেও দমিয়ে রাখার একটা আড়াল আছে। একটা দিন একটা সম্মান সমস্যার সমাধান দিতে পারে কি? একটা শক্তি তাদের ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ গুলো আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বেগুনি রঙের মতো যদি উজ্জ্বল হয় তবেই লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে সন্ধ্যাতারারা সেই আকাশে জ্বলজ্বল করবে আজীবন।!
সুমনা আদক —