চারদিকে তখন রেমাল (Remal) দুর্যোগ। কিন্তু বিপদ বাড়িয়ে ওই সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট (breathing) শুরু হয়েছিল সদ্যোজাত এক শিশুর। হাসপাতালে (Hospital) ছুটে গেছিলেন বাবা-মা। তবু বাঁচানো যায়নি তাকে। নেবুলাইজার ও অক্সিজেন দিতে দেরি হওয়ায় মৃত্যু হয় তার। সন্তানকে হারিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ আনল শিশুর পরিবার। হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সদ্যোজাতের বাবা। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্ত করতে আজ, মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে একটি দল সেখানে যায়।
রবিবার রাতে রেমাল এর প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। রাজ্য জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকার বাসিন্দা শিবশঙ্কর মোহতার এক মাসের মেয়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে তিনি সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে গেছিলেন। শিশুটিকে সেখানে ভর্তি করান হয়। তারপরেই শুরু হয় সমস্যা। শিশুর বাবা-মা অভিযোগ জানায়, দুর্যোগের কারণে হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না। জেনারেটর চালানো হয়নি। শিশুকন্যাকে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়া সম্ভব হয় নি। অনেক ডাকাডাকির পরে এক চিকিৎসক শিশুর চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু ততক্ষনে অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তখন জেনারেটর চালানো হয়। এরপর অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছিল। শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যু হয় শিশুটির।