পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কদর্য ভাষায় আক্রমণ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এর ফলে দিলীপকে পাল্টা তুমুল আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘শ্রীযুক্ত দিলীপ ঘোষ, আপনি একজন সাংসদ। আপনাকে মাননীয় বলব কিনা, সে বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি। একজন সাংসদ একজন মহিলার বিষয়ে (এরকম নোংরা ভাষা প্রয়োগ করছেন)। মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে এরকম কথা বলছেন। একবারের নয়, তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। ভারতের রেলমন্ত্রী ছিলেন। আরও অন্যান্য মন্ত্রকের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনি তাঁকে যে ভাষায় আক্রমণ করলেন, এটা বলার অযোগ্য। আপনি তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। বাংলার মানুষ আপনাকে ঘৃণা করে। মহিলাদের বিষয়ে যেভাবে আপনি আক্রমণ করেন, এটা মানুষ মেনে নেবেন না। একবার নয়, বাববার করেন। আপনাকে সাবধান করা হচ্ছে, এরকম কথা বলবেন না। নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকুন।’
সকালে সিটি সেন্টারের হোটেল থেকে বেরিয়ে চতুরঙ্গ মাঠে হাঁটতে যান তিনি। সেখান থেকে সিটি সেন্টার এলাকা ঘুরে চতুরঙ্গ মাঠে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। কাশীরাম বস্তিতে গিয়ে দেওয়াল লেখেন। সেখান থেকে বেরিয়ে মেন গেট এলাকায় ‘চায় পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগ দেন। এরপর দিলীপ ঘোষ ববলেন, ‘বাংলা নিজের ভাইপোকে চায়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে…..। দিদি গোয়ায় গিয়ে বলেন, আমি গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরায় (গিয়ে) বলেন আমি ত্রিপুরার মেয়ে। আমি বলি, বাপ তো ঠিক করুন। যার-তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।’
কুণাল ঘোষ এই ঘটনায় বলেন, ‘ছি দিলীপ ঘোষ! ছি! এরকম রুচিহীন এবং কুৎসিত কথাবার্তা বিজেপি নেতাদের মুখেই মানায়। কী চাইছেন আপনারা? জনগণের সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। জননেত্রী তিনি। জনগণ আপনাদের দিকে নেই। দিলীপ ঘোষ, আপনার পার্টি আপনাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে, গলাধাক্কা দিয়ে আপনার মেদিনীপুর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন বিজেপি (নেতারা, যাঁরা দলবদলু বিজেপি, তাঁরা গিয়ে আপনাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন। সেখানে কথা বলার ক্ষমতা নেই আপনার। মানসিক অবসাদ থেকে নিজের হতাশাটা বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করে। কাহি পে নিঘায়ে, কাহি পে নিশানা।’
প্রসঙ্গত এর আগেও দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছেন, ‘যদি পা বের করেই রাখেন, তাহলে শাড়ি কেন, বারমুডা পরতে পারেন।’