চলতি বছরে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ছাড়াও সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাম মন্দির নিয়ে যে পাঁচ বিচারপতি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন, তাঁদের রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মন্দির ট্রাস্ট। শুধু তাই নয় এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণান সহ বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি জি এস খেহার, বিচারপতি ডি কে জৈন, বিচারপতি জ্ঞান সুধা মিশ্র, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, বিচারপতি চেলামেশ্বর, বিচারপতি রমা সুব্রামানিয়াম ও অন্যান্যরা।
গত ৬ই মে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রাক্তন বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণানকে। সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরাম, অল ইন্ডিয়া বার এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন প্রাক্তন বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণানকে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রাক্তন বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণান এদিন কলকাতায় উপস্থিত থাকতে পেরে যে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন সেই বিষয় স্পষ্ট হয়েছে তাঁর বক্তব্যে। তিনি জানান কলকাতা কেন তাঁর পছন্দের ও অনুপ্রেরণার উৎস। তাছাড়া প্রথম কোর্ট শুরু হয় কলকাতায় সেই কথাও তিনি তুলে ধরেন। তাঁর জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান মুহূর্তে এদিন তিনি শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন। কথা হয় ঐতিহাসিক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও। এদিন তিনি জয়দীপ বাবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি আবারও কলকাতায় এমন তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চান।
সবমিলিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট এবং তিলোত্তমার বুকে এদিন বিশিষ্ট জনের উপস্থিতি সন্ধ্যাটিকে করে তুলেছে আরও মোহময়ী। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৯ নভেম্বর ২০১৯। সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছিল যে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি আদতে রামলালার জন্মস্থান। আদালত এই জমিটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরের রায় দিয়েছিল। আদালত সরকারকে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে একটি পৃথক ৫ একর জমি দিতে বলেছিল যাতে বোর্ড একটি মসজিদ তৈরি করা যায়।