ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে গন্তব্য এখন পাহাড়। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর থেকে কিছুটা দূরে রাণীনগর। শিল্প তালুক নামে পরিচিত এই এলাকা। সবুজে ভরা চা বাগান আর সেই চা বাগান ক্ষুদ্র চা চাষিরা এখন ভ্রমণপিপাষুদের জায়গা তৈরী করার চেষ্টা করছে । চা বাগানের মধ্যেই সুন্দর ছোট ঘর তৈরি করে সেটা এখন পর্যটনদের কাছে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করছে তারা। চা বাগানের মালিকরা এই বিষয়ে সহমত। স্বল্প খরচের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগানের টি প্লান্টেশনে উপভোগ আনন্দ করতে পারবে পর্যটকরা।
এই মনোরম পরিবেশটা আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা চলছে। চা বাগানের মধ্যে দিয়ে নারিকেল গাছ এবং সুপারি গাছের বাগান। তার মধ্যে রয়েছে তিন কুড়ি পাতার চা। নিজের হাতে চা পাতা তুলে আনলেই সেই পাতা দিয়ে তৈরি হবে চা। সবমিলিয়ে একটা অন্যরকম আমেজ। সেই কটেজ গুলি থাকবে সুন্দরভাবে গোছানো এবং খাদ্য পরিবেশন এর সুব্যবস্থা থাকবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি চা বাগানে চা চাষিদের কথা মাথায় রেখে একটা তিনি পরিকল্পনার করেছিলেন । স্বল্প মূল্যের মধ্যে শুধু তাই নয় রয়েছে এখানে সুন্দর পরিবেশ ।
এক ক্ষুদ্র চা চাষি জানান, ‘স্বল্প খরচের মধ্যে চা বাগানের মধ্যে থেকে চায়ের স্বাদ নিতে হলে টি প্লান্টেশনে চলে আসুন। শুধু তাই নয় অপরূপ সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর মজা এই চা বাগানে থেকে উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।’