জিডি বিড়লা সভাঘরে দেশ পত্রিকার তরফে একটি বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। বিতর্ক সভার বিষয়বস্তু ছিল – ‘এখন বাংলায় রাজনীতি মানেই দুর্নীতি’। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ছিলেন বাম নেমা শতরূপ ঘোষ, কৌস্তভ বাগচী। সেই বিতর্ক সভাতে হঠাৎ করেই দর্শকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা জানান তিনি বাম জমানার কেলেঙ্কারি নিয়ে বলতে শুরু করলে তাঁর বিরুদ্ধে দর্শকরা সরব হন। সেই সময় সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা ডঃ কুণাল সরকার সহ আয়োজকরা দর্শকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। বাম নেতা শতরূপ ঘোষ, বিজেপির কৌস্তভ বাগচীকেও পোডিয়ামের ধারে আসতে দেখা যায়। তবে সেই ঘটনায় সঞ্চালক ডঃ কুণাল সরকারের ভূমিকার নিন্দা করেছেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুকথা বলেছিলেন বিজেপির কৌস্তভ বাগচী, সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। সেই সময় কুণাল সরকার তাঁদের প্রশংসা করেন। বাম জমানা নিয়ে বলতে গিয়ে যখন কুণাল দর্শকদের রোষানলে পড়েন, তখন নাকি সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা চিকিৎসক ‘নীরব’ ছিলেন।
কুণাল ঘোষ জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন অশালীন কথা বলা হচ্ছিল এক শ্রেণির দর্শক হাততালি দিচ্ছিলেন। আর আমি বাম জমানার সমালোচনা করতেই তাঁরা আমায় থামিয়ে দিলেন।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শতরূপ দাবি করেন, কুণাল ঘোষকে দর্শকদের রোষ থেকে বাঁচিয়েছেন সেখানে উপস্থিত সকলে। কুণাল ঘোষ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ডাঃ কুণাল সরকার নিজেকে বিবেকে সাজিয়ে রাখেন। তিনি নিরপেক্ষ নন। আদ্যন্ত তৃণমূলবিরোধী এক রাজনৈতিক সত্তা। কোনও বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আপত্তিকর ভাষা বললে সঞ্চালকের ভূমিকায় বসে তিনি প্রশংসা করেন। উল্টোদিকের যুক্তি দিতে বাধার পরিবেশকে প্রশ্রয় দেন। (আমি এখানে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল এবং আনুষঙ্গিক একাধিক অভিযোগ নিয়ে বললাম না।)’