কন্যাকুমারীর (Kanyakumari) বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ৪৫ ঘণ্টা ধরে ধ্যান করলেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শনিবার শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনের দুপুরে ধ্যান ভাঙল তাঁর। ধ্যান শেষ করে সাদা পাঞ্জাবি আর ধুতি পরে মেমোরিয়াল থেকে বেরিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। থিরুভাল্লুভারকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তামিল ভক্তকবির ১৩৩ ফুট উঁচু মূর্তির পাদদেশে ফুলের মালা অর্পণ করলেন নরেন্দ্র মোদী।
গত বৃহস্পতিবার বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন তিনি। সেখানে থাকাকালীন সূর্যোদয়ের সময় ‘সূর্য অর্ঘ্য’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। ধ্যান–পর্ব শেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজে হাতে লিখেছেন, তিনি এখন ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করছেন। তিনি লেখেন, ‘এটা আজ আমার ভাগ্য, বিগত বহু বছর পরও, ভারত স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ ও আদর্শকে সামনে রেখে চলেছে, আমি সেই তীর্থস্থানে সুযোগ পেয়েছি ধ্যান করার। মা ভারতীর পায়ের কাছে বসে আজ আমি আরও একবার আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করলাম, আমার জীবন এবং আমার শরীরের প্রতিটি কণা দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।’
বেশ কিছু কথা এখানে লিখেছেন স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে। তিনি লেখেন, ‘আধ্যাত্মিক নবজাগরণের অগ্রদূত স্বামী বিবেকানন্দ আমার অনুপ্রেরণা, আমার শক্তির উৎস এবং আমার অনুশীলনের ভিত্তি। গোটা দেশ ঘুরে আসার পর স্বামীজি এখানেই বসে ধ্যান করেছিলেন। তিনি ভারতের পুনরুজ্জীবনের এক নতুন দিকনির্দেশ লাভ করেছিলেন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, আজ এত বছর পর স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ ও আদর্শ যেমন তাঁর স্বপ্নের ভারতকে রূপ দিচ্ছে, আমিও এই পবিত্র স্থানে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে আমি এক ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করছি। এই স্মৃতিসৌধে দেবী পার্বতী ও স্বামী বিবেকানন্দ তপস্যা করেছিলেন। পরে একনাথ রানাডে এই স্থানটিকে একটি স্মারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্বামী বিবেকানন্দের ধারণাকে জীবন্ত করে তোলেন।’