আরামবাগে (Arambagh) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সভা করলেন। রাজ্যে এসেই মোদী সরাসরি নিশানা করলেন তৃণমূলকে। তৃণমূলের দুর্নীতি তুলে ধরলেন তিনি। এদিন মোদী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেছে। গরীবের রেশন নিয়ে দুর্নীতি করছে। সীমান্তেও পশু পাচারে দুর্নীতি করছে। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। কোনও জায়গা ছাড়েনি দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে এখানে তদন্ত করতে দেয় না। আর এখানে মুখ্য়মন্ত্রী বসে পড়ছেন ধর্নায়।এরা খোলা হাতে লুঠ করতে চাইছে। আমি সেটা আটকেছি। তাই আমি ওদের প্রধান শত্রু।
এদিন মোদী বলেন, ‘অপরাধ, দুর্নীতির নয়া মডেল তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। রাজ্য সরকার দুর্নীতি, অপরাধ বাড়তে সাহায্য করে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি হয়েছে। পুরসভা নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। নেতাদের বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হয়েছে যে কেউ জীবনে ওরকম দৃশ্য দেখেননি। আর দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে ধরনায় বসে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী ওদের ইচ্ছামতো কাজ করতে দিচ্ছে না। তাই মোদীকে এক নম্বর শত্রু বলে মনে করে তৃণমূল কংগ্রেস। আপনারাই বলুন, তৃণমূল যে দুর্নীতি করছে, সেটা করতে দেব? ওদের লুঠ করতে দেব? চোরেদের ধরতে কড়া পদক্ষেপ করব না? আজ মোদী গ্যারান্টি দিচ্ছে যে ওদের ছাড়বে না মোদী। ওদের গালিগালাজে পিছিয়ে যাবে না মোদী।’
মোদীর বক্তব্যের বেশিরভাগ জুড়েই ছিল সন্দেশখালি। এদিন তিনি বলেন,’মা মাটি মানুষের ঢোল যারা পেটায় তৃণমূল সন্দেশখালির বোনেদের সঙ্গে যা করেছে তা দেখে গোটা দেশে আক্রোশ তৈরি হয়েছে। রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা যেখানেই থাকুন না কেন, সন্দেশখালির ঘটনা দেখে কাঁদছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি আসনে পদ্মফুল ফোটাতে হবে। তৃণমূলের একটি নিশ্চিত ভোটব্যাঙ্ক আছে। তৃণমূল অহংকার আছে যে সেই ভোটব্যাঙ্ক হাতছাড়া হবে না। সেই এবারও মুসলিম ভাইবোনেরা তৃণমূলের গুণ্ডারাজকে উপড়ে ফেলবে। এই লোকসভা নির্বাচনের ফলে তৃণমূল সরকারের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে।’