‘হেরে গেলেও আশাবাদী আমরা। হেরে গেছি তবে আমরা ভোটের ব্যাবধান কমিয়ে এনেছি অনেকটাই। তবে আমাদের জেতা উচিত ছিল’, জানালেন জেলা সভাপতি (district president)। এদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছে, অনেক অসুবিধা নিয়েও তারা বাড়িতে বাড়িতে পৌছে ভোটের কাগজ পৌছে দিয়েছে। এখন সবাই আবাসনে থাকেন, তাই একবারের বেশী কারো বাড়িতে পৌছে যাওয়া একেবারেই সম্ভব নয় কারো পক্ষেই। তবুও দলকে ভালোবাসেন বলেই বাড়িতে বাড়িতে পৌছে কাগজ দিয়েছেন আমাদের কর্মীরা। তাদের দায়বদ্ধতা এককথায় অসাধারন। খুব খারাপ লাগছে আমাদের সকল কর্মীদের জন্য, তাদের চেষ্টা বিফলে গেল। তবে আমাদের বাংলার সব জায়গাতেই আমরা জিতে ক্ষমতায় এসেছি এটা যেমন আমাদের কাছে আনন্দের তেমনিই বেদনার এই নির্বাচনে দার্জিলিং জেলা থেকে জয়ী হতে না পারা। এইবারে আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল, তবে কিছুটা দুর্ভাগ্য আমাদের এই নির্বাচনে জিততে পারলাম না। এখন আমাদের উচিত একটা সমীক্ষা করা, যেখানে একে অন্যকে দায়ী না করে কেন এই হার সেটা খুজে বের করা।’
পাপিয়া ঘোষ আরো জানান, ‘আমাদের সবাইকে এক হয়ে মাঠে নামতে হবে। তবেই একটা শক্তি এবং সাহস আসবে। শুধু দার্জিলিং জেলা নয় গোটা উত্তরবঙ্গতেই আমাদের ফলাফল প্রচণ্ড খারাপ হয়েছে, তাই আমাদের উচিত সেই হারকে মেনে নিয়ে সমীক্ষা করে দেখা যে আমাদের ভুল ঠিক কোথায় হচ্ছে? কেন আমরা মানুষের কাছে যেতে পারছি না? কেন সমস্যা কোথায় আমরা বুঝে উঠতে পারছি না?।জেলা সভাপতি আরো জানান বিজেপী কেন এই জেলাতে আমাদের হারিয়ে দিচ্ছে একে অন্যকে দোষ না দিয়ে এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। তবেই হয়ত ফলাফল ভালো হতে পারে।’