কিছুদিন আগেই নবান্নে (Nabanna) গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করেছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। নিজের ভেতর দ্বিধা থেকেই হয়তো সেদিন দেখা করতে যান তিনি।
অর্জুন সিং খাতায়কলমে বিজেপির সাংসদ। তাঁকে তৃণমূলে আনার ব্যাপারে রাজ্যসভার এক সাংসদের ভূমিকা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম থেকেই আপত্তি করছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। পার্থ জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শাম, নোয়াপাড়ার বিধায়ক মঞ্জু বসু, বীজপুরের সুবোধ অধিকারী এবং আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমানকে নিয়ে জোট তৈরী করেন। সোমনাথ শাম কিকিছুদিন আগেও বলেছেন, অর্জুনকে যাতে ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা না হয়, সেজন্য তিনি এলাকায় গণসাক্ষর সংগ্রহ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। অর্জুনকে ডেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, হাওড়া বা হুগলি থেকে প্রার্থী হয়ে যেতে। কিন্তু অর্জুন ব্যারাকপুর ছাড়তে রাজি হননি।
পার্থ ভৌমিক হলেন সেচ মন্ত্রী। অর্জুনের বিরুদ্ধে এলাকায় বিদ্রোহ দেখে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব পার্থরই কোর্টে বল ফেলে দেন। একটা সময় ছিল যখন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা আসনে এভাবে লড়তে হয়েছিল সুব্রত বক্সীকে। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানেন, বক্সীবাবু ওই আসনে জিতলেও মন্ত্রিপদ চলে যায় তার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুনের জন্য বিকল্প কিছু ভেবে রেখেছেন কিনা সেটাই এখন দেখার। এমতাবস্থায় অর্জুন কি বিজেপিতে ফিরে যাবেন? অর্জুন কী করবেন ব্যারাকপুর তথা রাজ্য রাজনীতির চোখ এখন সেই দিকেই।