সুমনা আদক: স্কটল্যান্ডের (Scotland) প্রকৃতির সৌন্দর্য রূপ ধরিত্রীর বুকে এক অনন্য সৃষ্টি, পাহাড় সমুদ্রে ঘেরা দেশটার ভৌগোলিক অবস্থান বৈচিত্রপূর্ণ। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরার এমন মোহহর রূপের বাহন হলো অর্থারাসিট পাহাড়টা, অর্থারাসিট যেন আস্ত একটা সমুদ্রকে খেয়ে ফেলবে, তাবড় তাবড় রাজ রাজাদের মতো এডিনবরার বুকে তার জমানো আধিপত্য, এখানে মেঘেরা খেলে বেড়ায় নিজের মতন করে, পাখিটা উড়ে বেড়ায় আপন মনে, আসলে অর্থারাসিট হলো এদের অভিভাবক, বছরের পর বছর ধরে সন্তান স্ন্হেহে এমন করে আগলে রেখেছে তাদের, পাখি,মেঘ, বৃষ্টির ফোঁটা, প্রজাপতি, সবুজ ঘাস ওদের না বলা কথাগুলো অভিভাবকের মতোই বুঝতে পারে ‘অর্থারসিট্ হিল’। শুধু তাই নয় “এডিনবরা” শহরের টানে ছুটে আসা ভ্রমণ পিয়াসীদের বড়োই কাছের এবং শখের বন্ধু হলো এই অর্থার্রসিট্ হিল, এখানে বেড়াতে এলেই সকলেই কেমন যেন মনহারিয়ে বসে থাকে। পিছুটান এক মায়ার বন্ধনে বাঁধতে পারে সে, উঁচু নিচু ঢালু যাই থাকুক না কেন কষ্ট হলেও শেষমেশ মন খারাপের চিহ্ন মেটানোর বারংবার রসদ যোগায় আর্থারসিট্। এতো বছর ব্রিটেনে থেকে তাকে বন্ধু করতে পেরেছি বলেই,তাকে নিয়ে নিজের ভালোলাগার কথা জানালাম আপনাদের কাছে।।
দিনটি সেদিন এপ্রিলের বৃষ্টিভেজা কোনো দুপুরের, ভালোলাগার চোখ নিয়ে অর্থারাসিটের অপরূপ রূপের মায়াবী ছবি।এ ছবি যে একবার দেখবে সেই কেবল বলতে পারবে অর্থারসিট্ হিলের আকর্ষনিয় হাতছানির কথা, ধাপে ধাপে সাজানো বজ্র কঠিন ব্যাক্তিত্ব এর আড়ালে উঁকি মারে এক প্রেমিক হৃদয়, একদা যিনি সর্ব নিঃস্ব তবুও অগাদ সম্পদের অধিকার নিয়ে পসার সাজিয়ে বসে আছে সমুদ্রের পারে। তারকাছে কি নেই মনজড়ানো দিগন্ত খোলা নীল সাদা মেঘে ঢাকা বৃস্টিত আকাশে উড়ে বেড়ানোর নেশা, এই নেশার শেষ কথায় কেউ জানে না। তাকে নিয়ে ভালোলাগার কিছু কথা রইলো আপনাদের কাছে।।
দূরের ঐ পাহাড়টা কথা বলে আকাশটার সাথে। ভেসে যাওয়া মেঘেরা পাহাড় কে বলে,আবার যখন এ পথ দিয়ে আসবো; পাহাড় তোমার সাথে আবার দেখা হবে এখন তাহলে চলি?
সব পাহাড়ের গল্পকাহিনী বোধহয় একই রকম তাই না? ‘স্কটল্যান্ড’ নামটা শুনলেই মনটা কেমন ভালো হয়ে যায়, আর বসন্ত এখানে ঘুরে বেড়ায় তার নিজের মতোন করে। এই স্কটল্যান্ডের পরিচয়ের অনেকটা বর্ণনা যিনি কাঁধে নিয়ে বয়ে বেড়ান তিনি হলেন মহান “আর্থরসিট্ হিল”, কাছে গেলে তবেই তাকে চেনা যায়, যিনি ভালোবাসা বিলোতে সীমাহীন এক হৃদয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সর্বক্ষণ, আর সারাক্ষন সাজানো বাড়িগুলোর সাথে কি যেন ফিসফিস করে কথা বলেন। ব্যালকনির বারান্দার এককোনে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে রোদ -বৃষ্টি, পাহাড়- মেঘের এই নিত্যদিনের লুকোচুরি খেলা দেখতে আর কানপেতে ওদের গল্প শুনতে একবারও কিন্তু মন্দ লাগেনা। বিরক্ত করা আমার পোষায় না, থাক না ওরা ওদের মতো, এই ভালো লাগাটাই যে বড্ডদামি।