৪ঠা এপ্রিল ছিল জন্মদিন। বেঁচে থাকলে বয়স হত ৭০ বছর। কিন্তু, অকালেই শেষ হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর জীবন। বলিউডের এককালীন ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন পরভিন ববি (Parveen Bobby)। সৌন্দর্যে ৮৩- এর হিন্দি ছবির দর্শকের মনে দাগ কেটেছিলেন। মৃত্যুর এতগুলো বছর পরও পরভিন ববির স্মৃতি তাজা। সুপারহিট মুভি থেকে স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য যুগে যুগে পরভিন ববি আজও হিট।
অভিনেত্রী মানেই ব্যক্তিগত জীবনও ছিল চর্চায়। প্রথম ছবি বক্স অফিসে ডাহা ফেল। কিন্তু,সাতের দশকে অনিতার চরিত্রে যৌন কর্মীর ভূমিকায় দিওয়ারে ঝড় তুলেছিলেন। কেরিয়ারে একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। অমিতাভের সঙ্গে পরভিন জুটির প্রতিটি ছবি হিট। তবু তার শেষ জীবন ছিল খুবই কষ্টের। মৃত্যুর তিনদিন পর উদ্ধার হয় দেহ। কিডন্যাপের অভিযোগ উঠেছিল অমিতাভ বচ্চনের উপর। ড্যানির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। চার বছর সম্পর্কে থাকার পর কবীর বেদী, মহেশ ভট্টের সঙ্গে পরভিন ববির সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে।
১৯৮৯-তে শোনা গিয়েছিল তিনি প্যারানয়েড স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। ইন্ডাস্ট্রি তাঁর ইমেজ নষ্ট করতে এই ধরনের ভুল খবর রটাচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন পরভিন ববি। অমিতাভ বচ্চন, বিল ক্লিন্টন, প্রিন্স চার্লস সহ একাধিক হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে তাঁকে মেরে ফেলার অভিযোগে আদালতে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় কিছু হয়নি। পরভিন নিজেই বলেছিলেন, ‘অমিতাভ বচ্চন একজন আন্তর্জাতির গ্যাংস্টার। আমাকে অপহরণ করে একটি দ্বীপে রাখা হয়েছিল। ওঁরা আমার অস্ত্রোপচার করেছিল। ডান কানের নীচে একটা চিপ লাগিয়ে দিয়েছিল’।
১৯৮৪ সালে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মীদের নিজের পরিচয় দিতে পারেননি। সেই সময় তাঁকে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। জীবনের অনেকটা সময় সেখানে কাটে পরভিন ববির। এরপর নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় পরভিনের দেহ।