ভোটের মুখে সিএএ নিয়ে তপ্ত পরিস্থিতি। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কার্যকর হওয়ার পর আইনের বিরোধিতা করে এই নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court)। আইনে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। কিন্তু এই সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। আবেদনকারীদের ২ এপ্রিলের মধ্যে ৫ পাতার সংক্ষিপ্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল শুনানি। এই বিষয়ের ওপর মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে ২০টি ক্ষেত্রেই সিএএ-র ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। অসম সংক্রান্ত মামলা আলাদাভাবে শোনা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আদালতে বলেন, সিএএ কার্যকর করে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না, যাঁরা শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘চার সপ্তাহের মধ্যে যদি কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে যায়, তাহলে তা ফেরানো কঠিন হবে।’ এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন এবং তার মধ্যেই হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রকে।