সুমন গঙ্গোপাধ্যায়: দুয়ারে নির্বাচন আর সেই কাজের জন্য দরকার প্রচুর অর্থ। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের (Congress) সমস্ত একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশের কংগ্রেস প্রার্থীদের পাশাপাশি সেই প্রভাব পড়েছে বহরমপুরেও। এই কেন্দ্রে র কংগ্রেস প্রার্থী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। স্থানীয় মানুষের প্রিয় ‘দাদা ‘। আর সেই দাদার ভোটের খরচ তুলতে এগিয়ে এলেন কান্দির একটি গ্রামের সাধারন মহিলারা। নিজেদের সঞ্চয় করা অর্থ তাঁরা তুলে দিলেন অধীর চৌধুরীর হাতে।
রবিবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এসে তাঁদের প্রিয় দাদা’র হাতে সেই অর্থ তুলে দিলেন বহরমপুর লোকসভার অন্তর্গত কান্দি বিধানসভার রনগ্রাম এলাকার ১১ জন মহিলা। না। তাঁরা কেউ সক্রিয় রাজনীতি করেন না, নন কংগ্রেস কর্মীও। কিন্তু শুধুমাত্র অধীর চৌধুরীকে ভালোবেসে নিজেদের উপার্জন করা, সঞ্চয় করা তুলে দিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থীর হাতে। উদ্দেশ্য একটাই, তাদের সেই উপার্জন করা অর্থ যেন অধীর চৌধুরী তাঁর নির্বাচনে খরচ করতে পারেন। কি ভাবে এই অর্থ তাঁরা রোজগার করলেন? অর্থ তুলে দেওয়া মহিলাদের বক্তব্য, ” আমরা কেউ বাড়ি ছাগল বিক্রি করে, কেউ মুড়ি ভেজে, কেউ লোকের বাড়ি কাজ করে, কেউ ফসল বিক্রি করে আবার কেউ তাদের স্বামীর একদিনের রোজগারের অর্থ সঞ্চয় করে, সেই অর্থ আমরা উনার হাতে তুলে দিলাম।” তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ” দাদা আমাদের সবার অভিভাবক, দাদা আমাদের মাথার উপর আছেন এটাই আমাদের কাছে সব থেকে বড় ভরসা, তাই আমরা আমাদের সামান্য সঞ্চয় থেকে দাদার ভোটের কাজে ব্যবহার করার জন্যে অর্থ দিলাম।”
এদিন প্রায় ১১ হাজার টাকা তাঁরা তুলে দেন অধীর চৌধুরী হাতে। এই মহিলাদের স্পষ্ট বার্তা,” নির্বাচনে খরচ করার মতো অর্থ কংগ্রেসের হাতে নেই। কিন্তু ভোট লড়তে প্রচুর টাকা দরকার, আর এই নির্বাচনে যাতে অধীর চৌধুরীর লড়াই করতে পারে এবং নির্বাচনে জিতে যাতে অধীর চৌধুরী সাংসদ হয়ে আসতে পারেন সেই জন্যই আমরা টাকা দিলাম।” এই অর্থ সাহায্য হাতে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অধীর চৌধুরী। কার্যত ধরা গলায় অধীর চৌধুরী বলেন,” সারা পৃথিবীর ঐশ্বর্যের যা মূল্য, সেই মূল্য থেকে এই মূল্য এতটুকু কম নয়। এটা আমার জীবনের অনেক বড় পাওনা। আমি এসব মা-বোনের কথা সারা জীবন মনে রাখব। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এটা আমার স্বপ্নের এবং কল্পনার বাইরে।।” এই মহিলাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অধীর চৌধুরী আরও বলেন,” আপনাদের এই আশীর্বাদ আমার কাছে চরনামৃত।
কোন রাজনৈতিক নেতাদের এই ধরনের সৌভাগ্য আছে কি আমার জানা নেই। কারণ নির্বাচনে লড়াই করার জন্য এলাকার সাধারণ মহিলারা আমার হাতে অর্থ তুলে দিচ্ছে এটা চরম সৌভাগ্য আমার।”
