আদানিকে সমন, ২১ দিন সময় দিল ইউএস কোর্ট
সমস্যা পিছু ছাড়ার নাম করছে না গৌতম আদানির। ইউএস সিকিওরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) আনা ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে গৌতম আদানি ও তাঁর ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পরে যথারীতি সব অভিযোগই অস্বীকার করেছিল আদানি গোষ্ঠী।
যা জানার পর ভারতেও শেয়ারবাজার নিয়ামক সংস্থা ‘দ্য সিকিওরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ (সেবি) কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছিলেন, শেয়ারবাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে যে বিধি রয়েছে, তা আদানি গোষ্ঠী লঙ্ঘন করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে সেবি।
তৃতীয় দিনেও দুঃসংবাদ আসা বজায় থাকল আদানি গোষ্ঠীর জন্য। যেখানে এসইসি কর্তৃপক্ষ একেবারে আদানি পরিবারের আমেদাবাদের বাড়িতে একেবারে লিখিত সমন পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, সমন জারির ২১ দিনের মধ্যে যথোচিত উত্তর জমা করতেই হবে তাঁদের। যা না মানা হলে, মার্কিন আইন (ফেডারেল রুলস অফ সিভিল প্রসিডিওর-এর রুল ১২) মেনে ২,২০০ কোটি টাকার এই ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলায় নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মোশন আনা হবে।সেক্ষেত্রে একতরফা আদানিদের বিরুদ্ধে রায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, সময়ের মধ্যে হয় এই সমনের উত্তর জমা করতে হবে, না হয় মার্কিন কোর্টেও এর বিরুদ্ধে আবেদনও জানাতে পারেন আদানিরা।
তবে যে বিষয়টি আদানিদের চাপ বাড়িয়েছে, তা হলো, ২০২২ সালের মে মাসেই ‘অ্যাজ়িওর পাওয়ার’-এর কোনও এক কর্মী সংস্থার হুইস্ল ব্লোয়ার পলিসি মেনে কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, যে সংস্থায় কোনও রকম আর্থিক তছরুপ করা হচ্ছে।
বিদেশি সংস্থাগুলিকে এসইসি’র কাছে যে বাধ্যতামূলক ‘৬-কে ফাইলিং’ জমা দিতে হয়, সেই নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, ‘অ্যাজ়িওর পাওয়ার’-এর তরফে এসইসি’কে জানানো হয়েছিল, কোম্পানির ভিতরে এই হুইসলব্লোয়ার-এর অভিযোগের তদন্ত কমিটি’তে সংস্থার বাইরের ব্যক্তিকে রেখেও, তার সত্যতা সম্পর্কে কোনও পোক্ত প্রমাণ মেলেনি।তবে এটাই শেষ নয়। এরপরেও ২০২৩ সালের জানুয়ারি এবং চলতি বছরের ২৮ মার্চ ফের ‘৬-কে ফাইলিং’-এ ‘অ্যাজ়িওর পাওয়ার’ এসইসি’কে জানিয়েছিল, টাকা লেনদেনে কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে বলে আবার অভিযোগ তুলেছেন অন্য দুই হুইস্ল ব্লোয়ার। যার বিরুদ্ধেও প্রমাণ মেলেনি।
এ দিকে রয়টার্সের তরফে দাবি করা হয়েছে, এফবিআই-এর গোয়েন্দাদের হাতে সাগর আদানির ২০২০ এবং ২০২১ সালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ‘অ্যাজ়িওর পাওয়ার’-এর সিইও’র সঙ্গে ঘুষের পরিমাণ এবং লেনদেন সম্পর্কে চ্যাট চালাচালি হয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours