খোয়াই হাট /সোনাঝুরি হাট
শান্তিনিকেতন নামটার সাথে জড়িয়ে রয়েছে কবিগুরুর নাম, এই শান্তিনিকেতনের নামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে সোনাঝুরি হাট। পর্যটক যখন কবিগুরুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসেন তাদের কাছে সোনাঝুরির বন আর খোয়াই হাট সব থেকে বেশি আকর্ষণ করে।
একসময় শনিবারের হাটের নাম ছিল সোনাঝুরি হাট এখন সেই হাট বসে প্রতিদিন আর শনিবার তার আকার আয়তন একটু বড় হয় এই যা পার্থক্য। অনেক বছর আগে শনিবারই হাট বসতো আর রবিবার ভাঙ্গাহাট, মন কারতো পর্যটকদের।
স্থানীয় আদিবাসী মহিলা তাদের হস্তশিল্পর সামগ্রী বিক্রির জন্য এই হাটই ছিল মূল উপার্জনের কেন্দ্র।সেখান থেকেই মূলত হাটের যাত্রা শুরু।
শান্তিনিকেতনের চারিদিকে সোনাঝুরি গাছের গভীর জঙ্গল ছিল যা ছিল মূলত ইউক্যালিপটাস গাছ। আজ জঙ্গল সীমিত হয়ে হাটের আয়তনও ছোট হয়েছে আগের থেকে অনেক বেশি।
সোনাঝুরির বন খোয়াই আর লাল মাটির পথ নিয়ে এই জায়গা গুলি কবিগুরুর খুব কাছের ছিল। উন্নয়নের বাড়াবাড়িতে লাল মাটির পথ অনেক আগেই হারিয়ে গেছে আর জঙ্গল দখল করে তৈরি হয়েছে একের পর এক বড় বড় রিসর্ট।
এখন এই দুই হাট প্রতিদিনই বসে আর সেখানে পাওয়া যায় শাড়ি, মেয়েদের ভিন্ন পোশাক সাজের সামগ্রী ছেলেদের পোশাক, বিভিন্ন হস্তশিল্প যুক্ত মাটির জিনিস। এছাড়া আর বিনোদনের জন্য হাজির থাকেন বাউলরা আর আদিবাসী শিল্পীরা যারা মূলত পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে তাদের সংসার চালান।
সোনাঝুরি নামটা সবার প্ৰিয়। কবি বলতেন আমার নিশ্বাস এর শেষ বিন্দু এই সোনাঝুরি খোয়াইএর দেশ। পরিবেশ বদলেছে কিন্তু কবির শেষ গানের সাথে সোনাঝুরি খোয়াইএর টান রয়েছে একইরকম।
সুমনা আদক
Asia News
https://asianewslive.in
Asia News is a digital news platform that brings Asia to the global online audience.