বলা যায় নাটকীয় দৃশ্য। চলেছে ম্যারাথন তল্লাশি কিন্তু তারপরেও সাংসদের দেহাংশ পাওয়া যায় নি। আধিকারিকদের যদিও অনুমান, খুনে সুপারি কিলারদের (Supari Killer) ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের। গত ১৩ মে নিউটাউনের (Newtown) ফ্ল্যাটে সম্ভবত শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। দেহে পচন ধরে যাতে গন্ধ না বের হয়, তাই দেহটিকে কেটে অংশ বিশেষ ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। দুই দেশের তদন্তকারী সংস্থার তথ্য আদান-প্রদানের ভিত্তিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, সাংসদকে খুনের পরিকল্পনা করা হয় বাংলাদেশে। সাংসদের ঘনিষ্ঠ কেউ এই কাজে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি ভারতে আসবেন জানতে পেরেই খুনের চক্রান্ত করা হয়। চার কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে তাঁর এক ব্যবসায়ী বন্ধুর বেশ সমস্যা হচ্ছিল। তিনিই এই খুনের মাষ্টারমাইন্ড কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দেহ একাধিক টুকরো করে চারটি ট্রলিব্যাগে ভরে লোপাট করা হয়েছে। লোপাটের দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্য একজনকে। সিআইডি সূত্রে খবর, স্থানীয় একজনের উপর দেহাংশ লোপাটের দায়িত্ব ছিল। তার খোঁজ চলছে। সূত্রের খবর, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই আনোয়ারুলকে খুন করা হয়েছে। ২০ মিনিটের মধ্যে দেহ টুকরো করে ট্রলিতে ভরা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যেই ফ্ল্যাট পরিষ্কারও করে দেওয়া হয় । অতএব অতি দক্ষ কেউ না হলে এটি সম্ভব না বলাই বাহুল্য।
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, লাল রঙের একটি ছোট চারচাকার গাড়ি নিউটাউনের আবাসনের সামনে আসে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের মৃত সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। সিসিটিভি ফুটেজের এই সূত্র ধরেই লাল রঙের ওই গাড়িটিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। গাড়ির মালিক ও গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেখা যায় সাংসদের সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা একে একে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আবাসন থেকে। কিন্তু মৃত সাংসদ বের হননি আবাসন থেকে।