সিজনাল ফল ফুল সবজিতে (Seasonal) মানেই যেকোন রকম রোগের উপাচার। কমলার সময় শেষের পথে তাই এবার চোখে পড়বে বাজার ভর্তি পাকা রসালো আনারস। অনেকেই এই গরমের শুরুতে কাজের মাঝে ফলের স্যালাড খেয়ে থাকে। খুব স্বাস্থ্যকর এই খাবার। যেকোন সময়ের মরশুমি ফল সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সামনেই ভোট আর তার মধ্যে শুরু হবে কাঠফাটা গরম। তাই সকলেই সুস্থ থাকতে হালকা খাবার খাওয়াই প্রয়োজন। তবে শুধু ফল খেয়ে তো দিন কাটে না তাই ফল দিয়েই যদি বানানো যায় মনের মত খাবার তাহলে তো কথাই নেই। শুধুমাত্র ফল হিসেবে না খেয়ে এই আনারস দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় আরো অনেক অভিনব রেসিপি।
হাতে যখন আজকের দিনে মানুষের সময় কম কিন্তু রসনার ক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ তখন ভরসা চটজলদি রেসিপি। তাই আজ আমরা শিখে নেব হাতে গরমে কিভাবে বানিয়ে ফেলা যায় আনারস দিয়ে পোলাও। দুপুরের খাবার তো বটেই বাড়িতে অতিথি আসলেও দিব্বি করে ফেলতে পারেন এই পোলাও। তবে আনারস রাতের দিকে না খাওয়াই ভালো। মাংস বা আমিষ দিয়েই যে এটা খেতে হবে এমন একেবারেই না। পনিরের যেকোন পদের সাথে জমিয়ে চলবে এই রেসিপি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বানাবেন এই সাধের পোলাও।
কি কি লাগবে:
ঘি
তেজপাতা
বাসমতি চাল
নুন
চিনি
কাজুবাদাম
আনারস
গরমমসলা (গোটা)
প্রণালী
একটা হাড়িতে বাসমতি চ্যালের ভাত বানিয়ে নিন। ঝরঝরে ভাত হলে খেতে বেশি ভালো লাগবে। পরিবারের সদস্য অনুযায়ী চাল নেবেন। এরপর একটা কড়াই নেবেন। তাতে পরিমান মত ঘি দেবেন। ঘি গরম হলে তার মধ্যে গোটা গরমমশলা দিয়ে দেবেন। এরপর তেজপাতা ফোড়ন দিন।পাশে করে রাখা বাসমতী চালের ভাত এবার সেই কড়াইতে ঢেলে দিন।এরপর যোগ করুন স্বাদমত নুন, চিনি। নাড়তে থাকুন। দেখবেন নিচে যেন লেগে না যায়। যখন দেখবেন মিশ্রণটা বেশ ভালো হয়েছে তখন তার মধ্যে কাজুবাদাম, কিশমিশ, আনারস কুচি দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট। ঢাকনা তুলে দেখুন সুন্দর গান্ধ পাবেন। নামিয়ে নিন আর গরম গরম পরিবেশন করুন। হয়ে গেল তো চটজলদি রবিবারের লাঞ্চ?